জনপ্রতিনিধির ভোটে জনপ্রতিনিধি; রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন

মাহতাবুর রহমান, আমতলী, বরগুনা || ২০২২-১০-১৬ ০৪:২০:৪২

image
রাত পোহালেই নির্বাচন। শেষ হচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারেদ্বারে। প্রার্থীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে করছেন প্রচার-প্রচারণা। জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে আজ তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবে নেতাদের নেতা। বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির। এছাড়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৭ অক্টোবর। আমতলী উপজেলায় ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তালা প্রতীক প্রার্থীরা হয়েছেন অ্যাড. আরিফ-উল হাসান আরিফ, টিউবওয়েল প্রতীকে মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা, পাখা প্রতীকে মোঃ নাসির হাওলাদার ও হাতি প্রতীকে মোঃ আহুরুজ্জামান আলমাস খাঁন । নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় পাখা প্রতীকের মোহাম্মদ নাসির হাওলাদার অঘোষিতভাবে প্রতিদন্ধিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা একশত চার জন। প্রতিটি ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ভোটাররা দ্বিধা বিভক্তিতে পড়ছেন। দেখা গেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম হাসান,উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম খান, ছাত্রলীগের এক অংশ প্রচারণায় নেমেছে তালা প্রতীকের প্রার্থী আরিফুর রহমানের পক্ষে। নির্বাচন প্রসংগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দলীয় নমিনেশন নেই তাই কাউকে সরাসরি সাপোর্ট না দিলেও যারা দলের জন্য কাজ করেছে তাদের জন্য কাজ তো করতেই হয়। এবারের নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য। বাকি ১ জন আখতারুজ্জামান আলমাস খাঁন গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী। সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে কারো কারো বিরুদ্ধে ভোটারদের অভিযোগ গত ৫ বছরে তারা কখনো ভোটারদের খোঁজ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে ভোটারদের কাছে টানতে চলছে টাকার খেলা। দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ভোট কেনার গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু প্রার্থীরা ভোট কেনার অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তবে এবারের ভোটাররা মনে করছেন টাকা নিয়ে ভোট বিক্রি করলে আত্মসম্মানের কিছুই থাকে না। তাছাড়া গত নির্বাচনে ভোট বিক্রি করে ভোটাররা বিপাকে পড়েছেন। ভোট দিয়েও লাঞ্ছিত হয়ে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে অনেক ভোটারদের। তবে এই চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই অঢেল সম্পদের মালিক। এর মধ্যে নাসির হাওলাদার নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে এমন গুঞ্জন ওঠে। তার মধ্যে প্রার্থীরা ভোটারদের টাকার লোভ দেখিয়ে যাচ্ছে। কুকুয়া ইউপি সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, টাকায় ভোট বিক্রি করলে সেই রকম মূল্যায়ন হয়। অতএব টাকায় ভোট বিক্রি করবো না। যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেব। তিনি আরো বলেন, আমি প্রার্থী নয়ন মৃধার পক্ষে কাজ করছি। হলদিয়া ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবো। আমি সদস্য প্রার্থী অ্যাড. আরিফ-উল- হাসান আরিফের পক্ষে কাজ করছি। আমতলী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা বলেন, নেতাদের ভোটে নেতাদের নেতা। অ্যাড. আরিফ-উল হাসান আরিফ শিক্ষিত ও মার্জিত একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। রাত পোহালেই নির্বাচন তাই ভোটাররা প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোট দিতে তবে প্রার্থী - ভোটার সকলের মনেই আশংকা বিরাজ করছে কখন কি হয়। নির্বাচন কমিশন সতর্ক থাকলে অবৈধ লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com