তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট ||
২০২২-১০-১৩ ০৫:৫৪:৫৫
উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ে ফের বন্যার আশ্বঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ মিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার)।
ব্যারাজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এ প্রবাহ আরও বাড়তে থাকে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করায় নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে এবং আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের কিছু রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মহিষখোচা এলাকার মানজেদুল ইসলাম বলেন, তিস্তায় পানি বাড়লে বুকটাও কেঁপে উঠে। পানি বাড়লেই ডুবে যায় ফসলের ক্ষেত, ভেসে যায় পুকুরের মাছ।
গোবর্দ্ধন গ্রামের নজরুল বলেন, পানি বাড়লেই বন্যায় ডুবতে হয়। হু হু করে তিস্তায় পানি বাড়ছে। তাই ত্রাণ নয়, তিস্তা নদী খনন করে স্থায়ী সমাধান করা উচিত।
ভোটমারীর শৌলমারী চরের তমিজ উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ বন্দি হয়ে পড়ে। রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তাপাড়ে। বন্যার আশঙ্কা করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও ছুঁই ছুঁই করছে। তবে আপাতত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357