দুর্গাপুরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুনীকে নিয়ে তোলপাড়, অভিযুক্তের ১ জন কারাগারে অপরজন পলাতক
মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর, রাজশাহী ||
২০২২-০৯-২৩ ১৩:৫৪:৩০
রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রাতুল (১৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রাতুল উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের আয়নাল মোল্লার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভিকটিম তরুনী (১৩)। এরপর ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সাথে মমিন (১৫) নামের আরও এক যুবকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়েছে। একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মমিন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে মমিন পলাতক রয়েছে।
থানায় ভিকটিমের দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম তরুনী অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। করোনাকালীন সময়ে অনলাইলে ক্লাস করতে গেলে প্রতিবেশি রাতুলের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে রুপ নেয়। তাদের এই সম্পর্ক জানতে পেরে ভিকটিমকে জিম্মি করে অপর যুবক মমিন। ভিকটিমকে জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক করে মমিন। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ভিকটিম। পারিবারিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসা হলেও অভিযুক্ত একাধিক হওয়ায় কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে ভিকটিম তরুনী। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাতুল নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, লিখিত অভিযোগে রাতুল ও মমিনের নাম উল্লেখ করে ভিকটিম। ওই দুই যুবকের সাথেই ভিকটিমের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে জানায় ভিকটিম। অন্তঃসত্ত্বা তরুনীর অনাগত শিশুর পিতা কে? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। পুলিশ শুক্রবার ভিকটিমের ডিএনএ প্রোফাইল চেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন হোসেন জানান, ভিকটিমের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর যুবককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া ভিকটিমের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357