ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদীতে বর্ণাঢ্য নৌকাবাইচ
মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ||
২০২২-০৯-১১ ১১:০৯:৩১
তিতাস নদীর দুই তীরে লাখো মানুষের উচ্ছাস। মাঝখানে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। বৈঠার ছন্দে যেন উত্তাল হয়ে উঠে শান্ত তিতাস। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমনই মুগ্ধকর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা।
তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রাণের এক উৎসব। তবে করোনা মহামারির কারণে গত দুইবছর বন্ধ ছিল এই প্রতিযোগীতা। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নৌকাবাইচের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে মেড্ডা এলাকা পর্যন্ত তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বাইচে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা ১৩টি নৌকা অংশ নেয়। দীর্ঘদিন পর নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা দেখতে পেরে আন্দোলিত হন সাধারণ মানুষ। বাইচ দেখতে দুপুর থেকে নদীর তীরে ভিড় করতে থাকেন মানুষজন। তাদের দাবি প্রতিবছর যেন এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
প্রবাল কর নামে এক যুবক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিনোদনের তেমন কোনো জায়গা নেই। প্রতিবছর নৌকাবাই প্রতিযোগীতা বিনোদনপ্রেমিদের মনের খোরাক যোগায়। দুইবছর বন্ধের কারণে এবারের প্রতিযোগীতা নিয়ে উচ্ছাস ছিল বেশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন জানান, একটি গোষ্ঠির অপপ্রচারে কয়েক বছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা বন্ধ ছিল। এতে করে বিনোদনমূলক এ আয়োজন উপভোগ করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। তবে এখন আবারও নৌকাবাইচ শুরু হওয়ায় মানুষজন বিনোদন পাচ্ছেন। প্রতিবছর এ প্রতিযোগীতা আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের তৎপতরায় এবার নদীতে বাইচের নৌকা ব্যতিত অন্য নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে বাইচ শেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, করোনার কারণে বিগত দুই বছর নৌকাবাইচের আয়োজন করা যায়নি।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357