চুরি করতে এসে বিধবা নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
জসিম উদ্দিন বিজয়, সাভার ||
২০২২-০৯-০৬ ১০:১৮:০৪
ঢাকার ধামরাইয়ে এক বিধবা নারীর ঘরে চুরি করতে গিয়ে তার হাত-পা, মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই ভুক্তভোগীর করা ধর্ষণ মামলায় মোঃ সাইজুউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে দুর্নিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ সাইজুউদ্দিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুর্নিগ্রামের মৃত পাচু খাঁর ছেলে।
ভুক্তভোগির পরিবার জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী মারা গেছে। তার তিনটি কন্যা সন্তান আছে সবারই বিয়ে হইয়ে যাওয়াতে ভুক্তভোগী তার বাড়িতে একাই থাকেন। সেই সুযোগে সোমবার ভোর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে সাইজুদ্দিনসহ আরো তিনজন সিঁধ কেটে ঘরে ডুকে এক লাখ টাকা ও ১ভরি ওজনের স্বর্ণালস্কার লুট করে নেয় এবং ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে হাত-পা, মুখ বেঁধে ঘরের মেঝেতে ফেলে চলে যায়। পরে সকালে প্রতিবেশীরা ভুক্তভোগী কে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
কিন্তু সেখানে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে তার জ্ঞান ফিরলে সাইজুদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান। এছাড়া বাকি তিনজনকে চিনতে পারেননি। পরে এলাকাবাসি সাইজুদ্দিনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইজুদ্দিনকে থানায় নিয়ে যায় এবং ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সাইজুদ্দিনের নাম উল্লেখ্য করে চার জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা করেন। এর পর দিন মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আসামি সাইজুদ্দিন কে আদালতে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে ওই নারী জানান সাইজুদ্দনিসহ আরো তিন জন তার ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকছিলো। তাকে ধর্ষণ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে জমি বিক্রির এক লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যা। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে তাকে পুলিশে দেয়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, এলাকার লোকজন ধর্ষণকারী সাইজুদ্দিনকে আটক করে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এরপর ঘটনা সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে সাইজুদ্দিন তা স্বীকার করেন। পরে রাতেই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে আসামী সাইজুদ্দিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357