থানার সামনে কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব, সাংবাদিকের উপর হামলা
হাসিব খান, গাজীপুর ||
২০২২-০৮-০৩ ১২:১৭:১৭
আধিপত্য বিস্তার ও চুরিকৃত লোহার টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে তাণ্ডব চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপ। এসময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় এশিয়ান টেলিভিশন ও বার্তা বাজারের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বুধবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশ নেয়া ওই দুইটি কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় কথিত ছাত্রলীগ নেতা রাসেদ খান মেনন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী এনামুল হক অনিক। রাসেদ ৫৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো.সেলিম মিয়া ও অনিক গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুনের অনুসারী।
এলাকাবাসী জানায়, মাসখানেক আগে কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদকৃত জায়গায় স্টিল কর্পোরেশনের নির্মানাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাসেদ খান মেনন ও অনিক গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের কিশোরদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে উভয় গ্রুপ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সাংবাদিক আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আরিফ চৌধুরী বাদি হয়ে
টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী বলেন, রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ শেষে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে আসলে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে থানায় অভিযোগ দিতে আসা দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় আশরাফুল ইসলাম বাবু নামে একজন আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে ২০-৩০ জন কিশোর আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে কিল-ঘুষি মেরে আমার সাথে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও এশিয়ান টেলিভিশনের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় থানা পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই গ্রুপকে লাঠিচার্জ করে নিভৃত করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আরেকটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের পর এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357