নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ||
২০২২-০৮-০২ ০৯:৩৩:২৬
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে স্টেনো টাইপিস্টের হামলায় জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এর মাথা ফাটানোর ঘটনায় নির্ধারিত সময় তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। এদিকে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তবে আজ মঙ্গলবার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত স্টেনোটাইপিস্ট খলিলুর রহমান। এর আগে গতকাল সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন তিনি। আক্রান্ত জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মহিউদ্দীন আহমেদ এখনো পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার উপর হামলার ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত ও আইনি শাস্তির দাবি জানান।
আক্রান্ত জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গত ২৮ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটায় অফিস চলাকালীন সময় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারীর কক্ষে বসা অবস্থায় তার উপর হামলা চালায় একই অফিসের স্টেনো টাইপিস্ট খলিলুর রহমান। এসময় তার মাথায় স্টিলের স্কেল দিয়ে আঘাত করা হলে মাথা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে বেশ কিছু অনিয়মের' চিত্র চিহ্নিত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। তার দাবি, এই বিষয়গুলো আগে সিভিল সার্জন অফিসের স্টেনোটাইপিস্ট খলিলুর রহমান দেখভাল করতেন। গত ৩১ মে জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেখভাল করার জন্য সিভিল সার্জন ডাক্তার কবির হাসান তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। সিএস অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাকিবকে আহবায়ক, আমাকে ও সিনিয়র টেকনোলজিস্ট রফিকুল ইসলামকে সদস্য রাখা হয় ওই কমিটিতে। একটি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান স্টেনোটাইপিস্ট খলিলুর রহমান। অফিসের অন্যান্য সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা হয়েছে। আমি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ওইদিনই তিন সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করা হয়। পটুয়াখালি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুমন কুমার বালাকে আহবায়ক, সিভিল সার্জন অফিসের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবু জাফর ও ডাক্তার মুশফিকুর রহমান নিটনকে সদস্য রাখা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত টিমের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত উপস্থিতি ও জবানবন্দি প্রদানে বিলম্ব করায় নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান টিমের প্রধান ডাক্তার সুমন কুমার বালা।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত স্টেনোটাইপিস্ট খলিলুর রহমান আজ মঙ্গলবার সিভিল সার্জন অফিসে এসে মৌখিক ও লিখিত ভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবানবন্দি দেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার কবির হাসান বলেন, অভিযুক্তর জবানবন্দি প্রদানের বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে হাতে পাওয়া সম্ভব হয়নি। আগামীকালের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্টেনোটাইপিস্ট খলিলুর রহমান বলেন, মহিউদ্দিন সাহেবের সাথে আমার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে, মাথা ফাটাইনি।
থানায় দায়ের করা মামলার ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ হামলার ঘটনায় ওই রাতেই মামলা রুজু হয়েছে। আসামি গতকাল আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357