শীর্ষ সন্ত্রাসী লিজন মোল্লা গ্রেফতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

হাজী জাহিদ, নরসিংদী || ২০২২-০৭-২৫ ০৬:১৯:৫৫

image
নরসিংদীর বাসাইলের একাধিক মামলার আসামি আলমগীর মোল্লার পুত্র লিজন মোল্লা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে গেলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। জানাজায়, নরসিংদী বাসাইলে অবস্থিত মেরিস্টোপ হাসপাতালে সিজারের সময় মা ও শিশু মৃত্যু বরণ করে। গুঞ্জন রয়েছে এই ঘটনায় কর্তব্যরত ডাক্তার হেলান হালিম প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন ভিকটিমকে এবং এলাকার কিছু মস্তানদেরকে কিছু কথিত ২/৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন । আর এই সকল মধ্যস্থতা করেন জনপ্রিয় হাসপাতালের এমডি মাহবুবুর রহমান মামুন আর মামুনের সাথে ডাক্তার হেলেনার সম্পর্ক তিনি জনপ্রিয় হাসপাতালের পার্টনার। মামুন এর কাছ থেকে লিজন মোল্লা একাধিক বার চাঁদা আদায় করেন এবং মেরিস্টপের ঘটনায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দুই তিন দফায় কিছু টাকা দেন কিন্তু সন্তুষ্ট হয়নি লিজন মোল্লা গং। সে মাহবুবুর রহমান মামুনকে হুমকি দেন। মামুন এই বিষয়ে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার পারভেজকে জানালে তিনি মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। কাউন্সিলরকে জানানোর অপরাধে লিজন মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনকে মারধর করেন এবং পিস্তল তাক করে হুমকি দেন। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মাহবুবুর রহমান মামুন বাদী হয়ে লিজন মোল্লার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন মামলায় লিজন মোল্লা গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান শুরু হয় নাটকীয় ঘটনা। গত ১৮ জুলাই রিমাইন্ড খেটে জেল হাজতে গেলে লিজন মোল্লাকে তালাশি করে জেল কর্তৃপক্ষ দুই হাজার টাকা ও দুটি ইয়াবা ট্যাবলেট তার কাছ থেকে জব্দ করেন। এই অপরাধে তাকে কারা কর্তৃপক্ষ সেলে প্রেরণ করেন কিন্তু আসামি লিজন মোল্লা সেলে গিয়ে ব্যাপক গালিগালাজ করে হুমকি দেন এবং সুপারকে হত্যা হুমকি দেয় এবং কারারক্ষীদের কে মারধর করেন। পরদিন তার ভাই তাকে দেখতে আসে এবং কারাগার থেকে কিছু ছবি তার ভাইকে সে দেয় এবং ১৯ তারিখ লিজন মোল্লা তার কম্বল ও বালিশে সিগারেট দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। কর্তৃপক্ষ আগুন নিভিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি জিডি দায়ের করেন, জিডি নং ১৪৮০ জেল কোড অমান্য করার দায়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লিজন মোল্লাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করেন। লিজন মোল্লাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করার পূর্বে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় সম্পূর্ণ সুস্থ দেহে লিজনকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করেন। নরসিংদীর জেল সুপার শফিউল আলম জানান, লিজন মোল্লার কাছে মাদক ও টাকা পাওয়া যায় তা জব্দ করে তাকে সেলে প্রেরণ করলে সে আমাদের সাথে অশুভ আচরণ করেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে হুমকি ধামকি দেয় জেলখানার আইন অনুযায়ী আমি ব্যবস্থা নেই। লিজনের ভাই তাকে কারাগারে দেখতে এসে কিছু ছবি কালেকশন করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে লিজন মোল্লা কারালক্ষীদের সাথে অশুভ আচরণ করেন। কারাগারে আগুন লাগিয়ে দেয় সিগারেট দিয়ে। আমরা এগুলো নিভিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তাকে সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরীক্ষা করে সুস্থ দেহে কাশিমপুরে প্রেরণ করি বর্তমানে একটি মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ পোর্টাল পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি তার নিন্দা জানাই । রাখিব নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ আমরা এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে কাজ করছি নরসিংদী কারাগার অত্যন্ত সেভ এন্ড ক্লিন এখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি নেই সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মানববন্ধন করছেন আমি তার নিন্দা জানাই এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়েছি লিজন মোল্লার সুস্থভাবে কাশিমপুর কারাগারে গিয়েছে মেডিকেল সার্টিফিকেট জিডির কপি আমার কাছে আছে। আজ ২৪ শে জুলাই লিজন মোল্লার পরিবার নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করেন মানব বন্ধন থেকে জেল সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভিন্ন অভিযোগ করেন লিজন মোল্লার ভাই স্ত্রী ও মা। এ বিষয়ে মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান মামুন জানান, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য এবং দ্রুত জামিন লাভের আশায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মানববন্ধন করেছে লিজন আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছেন পাশাপাশি দুই তিন বার লিজনকে আমি চাঁদা দিয়েছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বর্তমানে লিজন মোল্লার পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com