পলাশে ইছাখালী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ
হাজী জাহিদ, নরসিংদী ||
২০২২-০৬-২২ ০৮:২১:৩১
পলাশে ইছাখালী মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ পাওয়াগেছে। পলাশ উপজেলার তালতলি ইছাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আ ক ম রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ উঠে। এলাকা বাসী রহিম পাঠান, সুলতান মেম্বার, কামাল হোসেন, সোহরাব মাস্টার সহ অনেক দোকানদার ও এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন প্রিন্সিপাল আ ক ম রেজাউল করিম এর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্বসাধের কথা।
স্বরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী ইছাখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, যার রয়েছে দীর্ঘদিনের সুনাম এবং সফলতার ইতিহাস। সাথে রয়েছে আরেকটি এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত প্রতিষ্ঠান ইছাখালী এতিমখানা। দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে হওয়ায় মাঠের অবস্থানও একসাথে। আজকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের অবস্থা বেহাল হয়ে পরে আছে মনে হয় দেখার কেউ নেই। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বড় বিল্ডিং তৈরির মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটলেও মাঠের কোন উন্নয়ন ঘটেনি যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবেন। উন্নয়ন ঘটেনি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার মানের, তদুপরি সরকার শিক্ষার মানের জন্য সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর যিনি এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন প্রিন্সিপাল আ ক ম রেজাউল করিম, দীর্ঘ দেড়যুগ পার করেছেন যার বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় সমান অভিযোগ। এই প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার, কোন জাতীয় দিবস পালন করা হয়না, সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় ওনি ঢাকাতে অবস্থান করনে। ওনি বিএনপি আমলে বিএনপি, আওয়ামীলীগ আমলে আওয়ামীলীগের ছদ্মবেশ ধারন করে। এলাকা বাসী ও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই এলাকার কাউকে তোয়াক্কা না করে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের মনগড়ামত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছেন এবং স্থানীয় এমপিকে ডিংগিয়ে নিজের ইচ্ছামত মাদ্রাসার কাজ কর্ম করেন। বছরের পর বছর এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করে, গরুর বাজারের টাকা আত্মসাৎ করে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ঢাকা শহরে বাড়ি, গাড়ি, ফ্লাট কিভাবে তৈরী করে আরাম আয়েশ করবে সেই চিন্তারয় মগ্ন থাকে। এখানে একটি মসিজদ আছে এই মসজিদের দায়িত্বও ওনি নিজে পালন করেন এলাকার কাউকে দিতে চায়না অথচ ওনি এই মসিজিদে নামাজ পড়েন না। এলাকা বাসি বলেন, আপনারা বলেন একটি লোক একই সাথে তিনটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করলে সঠিক দায়িত্ব পালন হবে? দায়িত্বে অবহেলার কারণে আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এলাকা বাসীর অভিযোগ, এতিমখানা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, মসজিদের কোন উন্নতি নেই, মাদ্রাসা সরকারের কারনে টিকে আছে। ২০২০ইং সালে এই প্রিন্সিপালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী আন্দোলন করেছেন, মানববন্ধন করেছেন।
অত্র মাদ্রাসার, মসজিদ ও এতিমখানা বিশাল ভূমি সম্পদ সম্পত্তি রয়েছে। তাই মাদ্রাসার আসে পাশে বহু দোকান পাট হইতে প্রিন্সপাল ১৪,৪০,০০০ টাকা আটটি দোকান হইতে এডভান্স নেয়, এই সর্থে তিনি নিজেই দোকান ঘর নতুন করে দিবে বলে এবং বহু দোকানপাটের ভাড়া বাবদ উঠে হাজার হাজার টাকা। এই সমস্ত টাকার কোন হদিস নেই। শিক্ষকদের পিএফ বন্ধ প্রায় ২০ বছর উক্ত প্রিন্সিপাল এই মাদ্রাসয় প্রিন্সিপাল হিসাবে নিয়োগ পাবার পার থেকে। ছাত্র ছাত্রীদের বেতন আদি উঠালেও বেসরকারী ভাবে কোন বেতন কিংবা কোন সুযোগ সুবিধা পান না শিক্ষকরা, তাই শিক্ষকদের মাঝেও খোভ বিরাজমান।
এতিমখানার টাকাও হিসাবে গড়মিল তাই এতিখানার দুরঅবস্থা এতিমরা অসহায় ভাবে লেখা পড়া করছে। অভিভাবক প্রতিনিধি অনেক সদস্য জানান আ ক ম রেজাউল করিম ইছাখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রসায় যোগদানের পর হইতে মাদ্রাসার হিসাবে হজবরল তিনি শুধু ভাউচারের মাধ্যমে সকল দুর্নীতি জায়েজ করে নিচ্ছেন এই সব বিষয় নিয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য রহিম পাঠান কয়েক দিন পূর্বে আ ক ম রেজাউল করিম কে মারধর ও নাজেহাল করেন। স্বরজমিনে গিয়ে এলাকা বাসির নিকেট থেকে জানা যায় পলাশে ইছাখালী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রিন্সিপাল আ ক ম রেজাউল করিমকে এই ব্যপারে প্রশ্ন করা হইলে তিনি সঠিক জবাব দিতে পারেননি তাবে পিএফ বন্ধ এবং শিক্ষকদের বেসরকারী টাকা বন্ধ বলে স্বীকার করেন। এই মুহুর্তে এলাকাবাসী সবার এক দাবি এই প্রিন্সিপালের দ্রæত অপসারণ করে একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ এবং দেশপ্রেমিক শিক্ষাবান্ধব প্রিন্সিপাল নিয়োগ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে কলঙ্ক মুক্ত এবং যুগ উপযুগী শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হোক।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357