নরসিংদীর মনোহরদীতে গায়ে ছুতরা পাতা (বিছুটি) লাগানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে রাকিব মিয়া (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুই জন। রাকিব উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। সোমবার রাত ৯টার দিকে দৌলতপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার মুদির দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে ঘাতক সাইফুল (২০), তার মা নাসিমা ও খালাকে আটক করেছে পুলিশ। সাইফুল একই এলাকার মৃত. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাকিব ও সাইফুলের বাড়ির ছেলে-মেয়েরা পাশের একই মাদরাসায় পড়ালেখা করে। গতকাল মাদরাসা থেকে ফেরার পথে তারা একে অপরের গায়ে ছুতরা পাতা (বিছুটি) লাগিয়ে দিলে। পরে বিষয়টি নিয়ে সাইফুল, তার মা ও খালাকে নিয়ে রাকিবদের দোকানে আসে। এ সময় দোকানে বসে থাকা সিরাজ মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাইফুল উত্তেজিত হয়ে যায় । হইচই শুনে সিরাজ মিয়ার ছেলে রাকিব ও তার চাচাতো বোন পাপিয়া বাড়ি থেকে দৌড়ে আসে। একপর্যায়ে সাইফুল সিরাজ মিয়াকে মারতে গেলে রাকিব তাতে বাধা দেয়। পরে সাইফুল হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রাকিবকে আঘাত করতে থাকে। তখন সিরাজ মিয়া ও রাকিবের চাচাতো বোন পাপিয়া সাইফুলকে আটকাতে গেলে সে সিরাজ মিয়াকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়, এতে পাপিয়াও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিব ও তার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা নেওয়ার পথেই রাকিবের মৃত্যু হয় এবং রাকিবের বাবা সিরাজ মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ঢাকাতেই চিকিৎসাধীন।আর পাপিয়া মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘাতক সাইফুল এবং তার মা ও খালাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে পাঠানো হয়েছে।