রূপগঞ্জে মাটি খুঁড়তেই মিললো ব্রিটিশ আমলের ৯৮ পিস রৌপ্যমুদ্রা
সাইফুল ইসলাম, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) ||
২০২২-০৬-০৬ ০৮:২৭:০১
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মাণাধীণ বাড়ির কলাম করতে গিয়ে (বেছ) খুঁড়তে গিয়ে মাটির পাতিল থেকে ৯৮ পিস রৌপ্য মুদ্রা পেলো মাটিকাটার শ্রমিকরা। পরে বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ওই মুদ্রা উদ্ধার করেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ জুন সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভা এলাকার গন্ধর্বপুর গ্রামে।
গন্ধর্বপুর গ্রামের বাসিন্দা তালাত মাহমুদ নয়ন জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া তার উঠানে নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি কাটার শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। এ সময় ৬জুন সকাল ৮টার দিকে মাটি থেকে মাত্র ১ ফুট গভীরে কুদাল দিয়ে কুপ দিলে একটি পুরাতন মাটিরপাত্র ফেটে যায়। পরে স্থানীয় শ্রমিক ওয়াজিবসহ আরো ৩জন ওই মাটির পাত্র ভেঙ্গে দেখতে পান পুরাতন মুদ্রা। পরে বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসি রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ এসে মুদ্রাগুলো থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল করিম মিয়া বলেন, মাটি খুঁড়ে পুরাতন মুদ্রা পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৯৮ পিস পৃথক সালের মুদ্রা উদ্ধার করি। এসব মুদ্রার মাঝে ১৯০৬ এবং ১৯১৩ সালের ইন্ডিয়ান রোপি ছিলো। যা রৌপ্যমুদ্রা বলে ধারনা করা হচ্ছে। এসব উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, মাটি খুড়লে আরো নতুন মুদ্রা পাওয়া যাবে কী না তা বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এটি ব্যক্তিগত বাড়ি সেহেতু আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে এসব মুদ্রা উদ্ধার করার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, আজাদ মিয়ার বাড়ির যেখানে এ মুদ্রা পাওয়া গেছে সেখানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পুরাতন একটি কাঠকৌড়ি ঘর ছিলো। যে ঘরে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে থেকে মুড়াপাড়ার জমিদার বাবু জগদিস চন্দ্র ব্যানার্জির নিয়োজিত নায়েব মবুল্লাহ প্রধান বসবাস করতেন। পরবর্তিতে এ বাড়িটি তোতা মিয়া মাতবরেবর বাড়ি হিসেবেই সবাই চেনে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাছান মিয়া বলেন, এ মুদ্রা ব্রিটিশ আমলের হওয়ায় আলোচনায় এসেছে। সে সময়ের এ বাড়ির বসবাসকারী লোকজন বর্তমানের মাটির ব্যাংকের মতো হয়তো ওই মুদ্রাগুলো জমিয়েছিলেন। পরবর্তিতে এর খোঁজ নেননি। তাই এখন তার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357