ভোলায় ঈদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৭০১ ভূমিহীন পরিবার পেলো নতুন বাড়ি

মোঃ জহিরুল হক, ভোলা || ২০২২-০৪-২৬ ০৮:২২:১২

image
ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ৭০১ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের পাকা ঘরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ঈদে আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নতুন পাকা বাড়ি পেয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস বইছে ভোলার ৭০১ পরিবারের মাঝে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ভোলা সদর উপজেলা হল রুমে ক শ্রেণীর পর্যায়ে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে ৪০টি ঘরের কাজ সম্পন্ন করে তালিকাভুক্ত পরিবারকে জমিসহ ঘরে রেজিস্ট্রিশন দলিল, নামজারির কাগজসহ ঘরের চাবি হস্তান্ত করেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো.তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। এছাড়াও জেলার ৬ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন উপকারভোগীদের হাতে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ভোলা সদর উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ২০২২ টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যে জেলায় ৭০১টি ঘর নির্মাণ শেষে প্রধান মন্ত্রীর উদ্বোধনের পরে আমরা হস্তান্তর করেছি। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত অন্য ঘরও ভূমিহীন ও হতদরিদ্রদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী জুনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অবশিষ্ট ঘর উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর কাদের মজনু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ আলী সুজা প্রমুখ। নতুন পাকা বাড়ি পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের সাথী বলেন, আমরা সমাজে যাযাবরের মত বাসবাস করি। নিজেদের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। বাড়িভাড়া নিতে গেলেও আমাদের কেউ ভাড়া দেয় না। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঈদ উপহার হিসেবে একটা পাকা বাড়ি দিছে। এতে আমি অনেক অনেক খুশি হইছি। আমার মতো ভোলায় আরও অনেক হিজরা আছে তাদের ও কোন থাকার নির্দিষ্ট স্থান নেই। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে তাদেরও মাথাগোঁজা ঠাই হোক। একই রকম হারেছ মিয়া বলেন, আমি জেলে কাজ করি। নদীভাঙ্গনে জমি ঘরবাড়ি সব লইয়া গেছে এহন থাহি বেড়ির উপরে। তাও এইবার নতুন বেড়ি আইয়া ঘর উঠাইয়া দিছে। এখন প্রধানমন্ত্রী আমারে টিউবয়েল, টয়লেট সহ পাকা ঘর দিছে এখন বন্যা তুফানেও ডর নাই। লালমোহন উপজেলায় ২৬০ টি পরিবারের মাঝে জমির দলীল হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ,প্রকল্প কর্মকর্তা সোহাগ কুমার ঘোষ প্রমুখ। উল্লেখ্য, প্রতিটি ঘরের সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, রান্নাঘর ও টয়লেটের ব্যবস্থা। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com