দিনাজপুর নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জে নিজস্ব আর্থায়ানে আগ্রার তাজমহলের আদলে নিপূণ শৈলিতে তৈরি হচ্ছে জামে মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন, নান্দনিক কারুকার্য আর নয়নাভিরাম এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। তিন তলা এ মসজিদে এক সঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তাজমহলের আদলে নির্মানাধীন মসজিদের প্রায় ৭০ শাতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ টুকু চলমান রয়েছে। তাতেই মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য্য দেখতে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে, যেন তাজমহল বা রাজপ্রসাদ। অপরূপ সৌন্দর্য আর শৈল্পিক কারুকার্য্যে চোখ ধাঁধাঁনো ডিজাইনের মিশ্রণে গড়ে তোলা এ মসজিদটি ছড়িয়েছে আলোর দিশারী। মসজিদ নির্মাণে অনেকটা অনুসরণ করা হয়েছে আগ্রার তাজমহলকে।
দিনাজপুর শহর থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতারগঞ্জ বাজারে নির্মিত মসজিদটির নান্দনিক সৌন্দর্য্য দেখতে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন।
এক বিঘা জমির উপর নির্মিত ১০ হাজার স্কোয়ার ফুটের এ মসজিদে ১৬টি পিলারের উপরে রয়েছে, ৩২টি ছোট মিনার। এছাড়াও চার কোণায় সুউচ্চ চারটি মূল গম্বুজ আছে। প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফুট। স্থাপতির নন্দন ভাবনা শৈলি ফুটে উঠেছে এ মসজিদের গম্বুজের ভেতর ও বাইরের অংশও। ভারত, চীন ও ইতালির মার্বেল পাথর-গ্রানাইট ও মূল্যবান কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদে। সাদা মার্বেল পাথরের উপরে ফুলদানি, ফুলের ঝার, গোলাপ ফুল, চাঁদ-তারা, নক্ষত্র ও আরবি ক্যালিগ্রাফি স্থান পেয়েছে মসজিদটির নকশায়। নির্মাণে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রী, ডিজাইনার, টেকনিশিয়ানসহ ৪০ জন।
তিন তলা বিশিষ্ট এ মসজিদের তিনটি তলাতেই রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা। তবে নিচতলায় বিশেষ ব্যবস্থায় রয়েছে লাইব্রেরি, সেমিনার কক্ষ, ইমাম ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ও মসজিদের সামনে থাকবে নান্দনিক ফোয়ারা।
মসজিদটি নির্মাণ করছেন দেশের বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর স্বত্ত্বাধিকারী আফতাব পরিবার। স্বপ্নপুরীর কথা ভেবে আগ্রার তাজমহলের অনুসরণ করে আফতাবগঞ্জে সুদৃশ্য, নান্দনিক আধুনিক স্থাপত্যের সংমিশ্রণে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানালেন নির্মাতারা।
নির্মাতা দেলওয়ার হোসেন জানালেন, ২০১৫ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আর শেষ হবে ২০২৫ সালে। ১০ বছর ব্যাপি সময়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকারও বেশি। এক সঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এই মসজিদে। ২০২১ সালের জুন মাস থেকে এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
দর্শনার্থী আবুল হোসেন বলেন, অনেকের নিকট এই মসজিদের নাম শুনেছি। তাই আজ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এই মসজিদ দেখার পর মনটা ভরে গেছে। এত সুন্দর মসজিদ এর আগে আমার দেখা হয়নি। নামাজও আদায় করেছি। অনেক ভাল লাগছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানালেন, এই মসজিদ তৈরি করছেন আফতাব পরিবার। স্থানীয় হাটের টোল তোলার পর তা মসজিদটি নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে। অপূর্ব শৈল্পিক কারুকার্য শোভিত এবং আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত হচ্ছে এই আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com