পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডসভা পণ্ডের পর উপাচার্য অবরুদ্ধ
পাবনা প্রতিনিধিঃ ||
২০২২-০২-১০ ১০:০৭:৫৭
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলী ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে আপন ভাতিজিসহ ১০২ জন শিক্ষক কর্মচারীকে নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই নিয়ে তুমুল হট্টগোলের পর তাকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
পরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু বিকেলে হাজির হন পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে। তিনি পুরো ঘটনা শুনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জানান, ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। পরে তার সহযোগিতায় অধ্যাপক রোস্তম আলী মুক্ত হন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত আজকের এ সভা বেলা ১১টায় উপাচার্যের কক্ষে শুরু হয়। সভায় শতাধিক নিয়োগ, আপগ্রেডেশন ও শিক্ষকদের এমফিল পিএইচডি অনুমোদনের কথা ছিল। ভিসি স্যার নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। তিনি তার ভাতিজি ফাতেমা খাতুনসহ ১০২টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুমোদনের দেয়ার চেষ্টা করেন।’
‘পরে দুপুরে সভা চলাকালে বিতর্কিত নিয়োগ ও অনিয়ম নিয়ে রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এ সময় উপাচার্য রোস্তম আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে, সভা বাতিল ঘোষণা করেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক কর্মকর্তারা উপাচার্যের কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করেন।’ যোগ করেন তিনি।
শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন, বিদেশ গমন, পিএইচডি, এমফিলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীকে ফোন করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
আগামী ৬ মার্চ উপাচার্যের দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে অধ্যাপক রুস্তম আলীর। এর আগে তিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।
রিজেন্ট বোর্ডের এই ৬০তম সভায় ৬১টি আলোচ্য সূচির মধ্যে ৪২টি ছিল নিয়োগের অনুমোদনসংক্রান্ত। এসব নিয়োগের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে-কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অভিযোগ, স্বজনপ্রীতি করে উপাচার্য এম রোস্তম আলী তার ভাতিজি কানিজ ফাতেমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে চাকরি দিয়েছেন। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের তালিকা থেকে বাদ পড়েন কুমিল্লা সদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম।
তালিকায় নিজের নাম না দেখে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে উপাচার্যের পথরোধ করেন। তিনি চাকরির জন্য উপাচার্যকে ঘুষ দিয়েছেন দাবি করে সেই টাকা ফেরত চান। এ–সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর নিয়োগটি বাতিল হয়।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357