দুল্লা ইউপি নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বকুল

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: || ২০২১-১১-২৩ ০৪:৩৭:২৯

image

আর মাত্র ৫ দিন বাকি ১ নং দুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে মুক্তাগাছা  উপজেলার ১ নং দুল্লা ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে চশমা মার্কা নিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ বকুল হোসেন নিয়মিত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।

নিজের অবস্থান সুসংহত করতে মুহাম্মদ বকুল হোসেন প্রতিদিন গণসংযোগ, পথসভা, উঠান  বৈঠকসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, ‘আমাকে নির্বাচিত করা হলে শাসক নয়, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করব-ইনশাল্লাহ।’ একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে চশমা মার্কায় ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। এবারের নির্বাচনে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলোতে মুহাম্মদ বকুল হোসেনের নাম সর্বাধিক আলোচনায় উঠে এসেছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ বকুল হোসেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ‘ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ‌’। একজন পরিচ্ছ্ন্ন সাদা মনের মানুষ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী পেয়েছেন ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের পাহাড়িয়া এলাকার ভোটাররা। এবার দুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৯টি ওয়ার্ডের মাঝে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ৮প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মাঝে ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রাম নিয়ে ঘটিত পাহারি অঞ্চলের একক প্রার্থী অধ্যাপক বকুল হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও এলাকায় এই প্রথমবার প্রার্থী হিসাবে মাঠে নামায় তাকে নিয়ে তিন ওয়ার্ডের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ঝাক-জমক উৎসাহ উদ্দীপনা মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর এই প্রথম উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাহাড়িয়া গ্রামবাসী অধ্যাপক বকুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও এলাকায় নিজস্ব প্রার্থী পেয়েছে। এই নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবে দেখছেন এলাকার জনগণ। এর আগে ও পরে কোনো দিন ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড পাহাড়িয়া এলাকা থেকে কেউ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারেননি। ইউনিয়নের মধ্যভাগে নদী থাকায় দুল্লা ইউনিয়নটি নদীর এপার-ওপার দুইভাগে বিভক্ত। নদীর ওপারে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড এর আগে কোন প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনে যে কোন প্রার্থীকে এই তিন ওয়ার্ডের ভোটারদের দিকে চেয়ে থাকতে হতো। এই তিন ওয়ার্ডের মানুষ যেদিকে থাকতো সেদিকে ভোটের পাল্লা ভারী হতো।তবে এই এলাকায় এবার অধ্যাপক বকুল হোসেন প্রার্থী হওয়ায় ভোটের মাঠে দেখা দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। খোজ নিয়ে জানা গেছে- দুল্লা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩০হাজার। তার মাঝে ৭,৮,৯ এই তিন ওয়ার্ডের তিন কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১হাজার। বাকী ৬টি ওয়ার্ডের ভোট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন আরো ৭প্রার্থী। সে হিসাবে ১১হাজার ভোট নিয়ে একক প্রার্থী হওয়ায় অধ্যাপক বকুল হোসেন প্রার্থী হিসাবে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতার মাঝে আলোচনায় রয়েছেন। ভোটাররা ধারণা করছেন এই তিন ওয়ার্ডের ভোটাররা যদি শেষ পর্যন্ত ঐক্য থাকে আর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে অধ্যাপক বুকুল হোসেন তার চশমা নিয়ে প্রথমবারের মত পাহাড়িয়া অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এতে কোন সন্ধেহ নেই।

দুল্লা ঘুরে বকুলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে রামপুরের শাজাহান বলেন, তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাঁর অবস্থান সবচেয়ে ভালো। কামাইরার আলী হোসেন বলেন, ‘ইতিপূর্বে আমরা অনেক চেয়ারম্যান দেখেছি। এবার আমরা নতুন মুখ হিসেবে বকুল ভাইকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।’ গজিয়ার ইউছুফ বলেন, বকুল ভাইয়ের জয় এবার নিশ্চিত। তাঁর পাশে জনগণ আছে। গোলাবাডির বারেক বলেন, ‘বকুল ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। আমার জানামতে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।’নটাকুড়ির মিজান বলেন, ‘বকুল ভাইয়ের ওপর আস্থা রাখা যায়। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।’ভদ্রের বাইদের  এরশাদ আলী মাষ্টার বলেন, বকুল হোসেনের জয় এবার হবেই। দুল্লা গ্রামের রাসেল বলেন, ‘প্রার্থী বকুল ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। আমরা আশাকরি আমাদের সকলের প্রাণবন্ত ভোটে চশমা প্রতীক নিয়ে বকুল ভাই বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন ইনশাল্লাহ।’

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com