নরসিংদীতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সহ দুজন গ্রেফতার
হাজী জাহিদ, নরসিংদী ||
২০২১-১১-২২ ১০:০৫:১৯
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাতুল হাসান ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভোটের দিনে সকালে বাঁশগাড়ীতে তিনজন নিহতের ঘটনা হওয়া মামলায় ঢাকা থেকে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
রাতুল হাসান (৩২) বাঁশগাড়ী গ্রামের মো. হাসান আলীর ছেলে। অন্যদিকে ফয়সাল আহমেদ (৩৫) বাঁশগাড়ী ইউপির বটতলীকান্দী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে বাঁশগাড়ী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন রাতুল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার রাতুল হাসান ও ফয়সাল আহমেদ বাঁশগাড়ীতে ইউপি নির্বাচনের ভোটের দিন নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজন নিহতের ঘটনায় করা মামলার আসামি। গতকাল রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও থেকে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নিয়ে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের তথ্য মতে বাঁশগাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি ওয়ান শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
বাঁশগাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে যে হামলা, ভাঙচুর, টেঁটাযুদ্ধ, দাঙ্গা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে আসছে, তার মূল হোতা রাতুল ও ফয়সাল। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়ই সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে টেঁটা, বল্লম, ককটেল, দেশি অস্ত্রশস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রাতুল।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিতে ভোরের দিকে টেঁটা, ককটেল, দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করেন রাতুলের কর্মী-সমর্থকেরা। ওই ঘটনায় পৃথক পৃথক স্থানে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় করা হত্যা মামলায় রাতুল ও ফয়সালকে আসামি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আগারগাঁও থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাঁশগাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি ওয়ান শুটারগান, চার রাউন্ড কার্তুজ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্রই নির্বাচনের দিন তিনজন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।
সাহেব আলী পাঠান আরও জানান, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় হত্যা, অস্ত্র, দাঙ্গাসহ মোট ৩১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রাতুলের বিরুদ্ধে ২২টি ও ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা চলমান। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এই দুজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় আরও একটি অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। তাঁদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সাহেব আলী পাঠান ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদ, রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল বাসার।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357