ভোটার তালিকা থেকে প্রার্থীর নাম উধাও
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : ||
২০২১-১১-২১ ০৮:০৭:০২
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনায়ন ফরম কিনতে গিয়ে জানলে তারা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটাই নন। হতভম্ব হয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে আবেদন করেন।
ভোটারহীন সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন, উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত. আনা উল্লাহ’র ছেলে আশরাফ আলী যার ভোটার ক্রমিক নং ৬৮ ও একই ওয়ার্ডের ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন যার ভোটার ক্রমিক নং ১০৭। তারা জন্ম সুত্রে ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার।
অভিযোগে জানা গেছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মাঠে গনসংযোগ শুরু করেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। তফসিল ঘোষনার পর থেকে সংশ্লিষ্ঠ রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনায়ন পত্র সংগ্রহ করতে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত. আনা উল্লাহ’র ছেলে আশরাফ আলী ও ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন। সেখানে মনোনায়ন ফরম কেনার পরে জানতে পারেন তারা সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের ভোটারই নন। তাদের ভোট অন্য ওয়ার্ডে স্থান্তর করা হয়েছে। যা তারা নিজেরাই জানেন না। তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। তাই কেউ তাদের আড়ালে গোপনে ভোট স্থান্তর করেছেন বলে তাদের দাবি। এদের মধ্যে আশরাফ আলীকে ৬নং ওয়ার্ড থেকে ৪ নং ওয়ার্ডে এবং আলতাব হোসেনকে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ২ নং ওয়ার্ডে স্থান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়ায় তাদের মনোনায়ন পত্রও প্রাথমিক ভাবে বৈধতা পাচ্ছে না। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই এর প্রতিকার ও দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দাবি জানিয়ে দুই সম্ভব্য প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আশরাফ আলী বলেন,কয়েক বছর ধরে নির্বাচনে অংশ নেয়ার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগেই কে বা কাহারা আমার ভোট স্থান্তর করা হয়। যার কারনে গত দুই বার প্রস্তুতি নিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারি নি। এটার দ্রুত প্রতিকার দাবি করেন তিনি।
অপর সম্ভব্য সদস্য পদপ্রার্থী আলতাব হোসেন বলেন, ভোটার হয়েছি থেকে ৬ নং য়ার্ডের ভোটার হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছি। গত সংসদ নির্বাচনেও ৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি। এবার সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে এক বছর ধরে গনসংযোগ করে আসছি। মনোনায়ন ফরম সংগ্রহ করে জানতে পারি আমার ভোট ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ২ নং ওয়ার্ডের স্থান্তর করা হয়েছে। যা আমি নিজেও জানি না। ভোটার স্থান্তর করতে কখনই আবেদন করি নি। নির্বাচনে যাতে প্রার্থী হতে না পারি তাই হয়তো নির্বাচন অফিসকে ম্যানেজ করে আমার প্রতিপক্ষরা এমনটি করেছেন। তিনি দ্রুত এর প্রতিকার দাবি করেন।
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন,আমার জানামতে তারা দু'জনে ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভোটার। হয়তো কেউ আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যায়ন দিয়ে আশরাফ ও আলতাব সহ একাধীক ব্যক্তির ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে। তিনিও দ্রুত তদন্ত করে প্রতিকার দাবি করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের সদস্যদের প্রত্যায়ন ছাড়া ভোটার স্থান্তর হয় না। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। সম্ভব্য প্রার্থীদের ভোটার স্থান্তর বিষয়ে দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357