দিনাজপুরে শীতের মাত্রা বেড়েই চলছে

সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: || ২০২১-১১-১৪ ০০:৩৭:১৬

image

কার্তিক মাসের শেষের দিক তাই শীতের প্রভাব আস্তে আস্তে বাড়ছে এখন প্রতিদিন। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কুয়াশা ভেদ করে
পুবের আকাশে সূর্যের উদয়। দূর্বা ঘাস আর ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির পড়ছে। সন্ধ্যা হলেই পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। ছোট ছোট যানবাহনগুলি হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এখন থেকে মোটা কাপড় ছাড়া বাহিরে বের হওয়া যাচ্ছে না। ভোরের দিকে ঠান্ডার পরিমান অনেক বেড়ে যায়। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের শেষের দিকেই শুররু হয়েছে শীত। রবিবার ভোরে দেখা যায়,কচি ধান পাতায় জড়িয়ে রয়েছে মুক্তোর মতো শিশির বিন্দু,ঘাসের ওপর ভোরের সূর্য কিরণে হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দিচ্ছে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।
হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে দিনাজপুরের গ্রামগঞ্জ ও শহরের গাছ,লতা-পাতা। ভোরে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন গরম কাপড় গায়ে মুড়িয়ে। আর ঘাসের ওপর
ভোরের সূর্য হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দিচ্ছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা দিনাজপুর,এ কারনেই এই জেলার প্রতিটি উপজেলার মত বীরগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছর কনকনে হাড় কাপানো শীত
অনুভুত হয়। বীরগঞ্জ উপজেলা দিনাজপুরের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে হিমালয়ের আরোও বেশি কাছাকাছি ।
দিনাজপুরের পরিবেশবিদরা বলছেন, এ বছর বন্যা তেমন হয়নি তাই এ বছর শীত বেশি হবে। একটি প্রবাদ আছে উনু বর্ষায় ধনু শীত অথ্যাৎ যে বছর বন্যা কম হয় সেই বছর শীত বেশি হয়। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত যত গভীর হয় কুয়াশা তত বাড়ে হালকা বৃষ্টির মতো টিপটিপ কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে সকার ৮ টা পর্যন্ত ( ১৪ নভেম্বর ) চারদিক ঘন খুয়াশায় ঢাকা ছিল ।
এই শীতের কারনেই মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু শিশির। উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। কয়েক দিন থেকে শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।

গ্রামগুলোতে পুরনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নারীরা। বাড়ির পাঁশে গাছের নিচে বসে রঙ-বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরি করছেন কাঁথা
আর সেই সাথে জমে উঠেছে গল্প এবং আড্ডা। বাজারে ধুনাইকাররা লেপ তোষক তৈরী শুরু করেছে। প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ বেরঙের অতিথি পাখির করতালে বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাশয় গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে।
এদিকে গ্রাম ও শহরের হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, টমেটোসহ নানা জাতের শীতের সবজি। শুরু হয়েছে ফুটপাতে শীতের পিঠা বিক্রি। দিনাজপুর কালীতলার পিঠা বিক্রেতা সামিনা বেগম বলেন কয়েকদিন ধরে শীতের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতি বছরের মত এবারও প্রতিদিন সকালে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা তৈরী করছেন।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জ্বল হোসেন বলেন, দিনাজপুর কার্তিক মাসের প্রথম দিক থেকে শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে থাকে তবে এ বছর কার্তিক মাষের শেষের দিকেই ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিনও শীতের মাত্রা বাড়তে থাকবে আর তাপমাত্রা কমতে থাকবে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com