কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি: || ২০২১-১১-০৭ ০৪:৩৮:৪৯

image

দুর্বৃত্তের ছুড়া গুলিতে গুরুতর আহত কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা গেছেন। ৭ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আইসিস্ইিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল্লাহ্ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, জহিরুল ইসলাম সিকদারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন। জহিরুল ইসলাম সিকদারের নিজ এলাকা লিংক রোডে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। দুপুর দেড়টার পর শহরতলীর সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে খরুলিয়া পর্যন্ত প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় সড়কে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে এলাকাগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল্লাহ্ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বিশ্বাসী। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছি। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করবো না। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি আমরা। 

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় শহরতলীর লিংক রোড এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুড়া গুলিতে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কুদরত উল্লাহ্ সিকদার সহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। রাতে জহিরুল ইসলাম তার ভাই কুদরত উল্লাহ্ সিকদারসহ লিংক রোডস্থ নিজ কার্যালয়ে বসে যখন আলাপ করছিলেন, তখন ৭/৮ জন মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দু’টি সি.এন.জি নিয়ে অফিসের সামনে উপস্থিত হয়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা গুলিবর্ষণ করে স্থান ত্যাগ করে। গুলিতে জহিরুলে ইসলাম সিকদার ও কুদরত উল্লাহ্ সিকদার গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় রাত  সাড়ে ১২ টার দিকে কুদরত উল্লাহ্ সিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জহিরুল ইসলাম সিকদারকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের পরামর্শে চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়। মাত্র ১ দিন পর গুরুতর আহত জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা যান।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com