শক্রতার জেরে জমির ধান কেটে নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : || ২০২১-১১-০১ ১১:০৬:৫৮

image
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ এলাকায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে খছমুদ্দিন (৬০) ও রাসেল (২১) নামে পিতা পূত্রের বিরুদ্ধে । এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মোশারফ হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন(১৭)কে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে খছমুদ্দির পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার (০১ নভেম্বর) ভোর রাতে উক্ত জমির ধান কেটে নিয়ে যায় খছমুদ্দিন ও রাসেলসহ আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সোমবার দুপুরে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর রাতে খছমুদ্দিন ও রাসেলসহ তাদের পরিবারের লোকজন মোশারফ হোসেনের ১০ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। সকালে জমিতে ধান দেখতে না পেয়ে মোশারফ হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন খছমুদ্দিনকে এ বিষয়ে বললে তার সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা বিপ্লবকে লাঠি ও ধান কাটার কাচতে দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, প্রায় ১০ বছর যাবত এই জমি নিয়ে খছমুদ্দিনের সাথে আমার দ্ব›দ্ব চলে আসছে। এ বিষয়ে কয়েক দফায় স্থানীয় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ সালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তীদের উপস্থিতিতে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংশা করা হয়। কিন্তু তারা সেটা অমান্য করে প্রায় সময় আমাদের হুমকি দিত। গতকাল রাতে তারা আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। তার প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে মারধর করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খছমুদ্দিনের পূত্র রাসেল বলেন, আমরা আমাদের জমির ধান কাটতে গেলে তারাই আমাদেরকে মারধর করেন। আমার বাবা-মা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com