ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ || ২০২১-১০-২৭ ০৭:১৩:২১

image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চেক জালিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আর নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে- একটি বিশেষ বাহিনী থেকে অবসরে আসা তার ভাইয়ের হাতে ১/১১’র সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

নোয়াগাঁও ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম এবং রতনপুর ইউনিয়নে সৈয়দ জাহিদ হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওই দুই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত দুই প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় সর্বত্র এখন সমালোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে যেসব প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়- তার মধ্যে নোয়াগাঁও ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম এবং রতনপুর ইউনিয়নে সৈয়দ জাহিদ হোসেনের নামও ছিল। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাদের নাম ঘোষণা করে।

অভিযোগ উঠেছে, সৈয়দ জাহিদ হোসেনের ভাই ১/১১'র সময় একটি বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ওই সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হয়রানি ও নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতনকারীর ভাই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গতকাল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনা চলছে।

অন্যদিকে, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন আশুগঞ্জ উপজেলার শরীয়তনগর এলাকার বাসিন্দা আবু আসিফ আহমেদ। ওই মামলার আদেশে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শফিকুলকে এক বছরের কারাদণ্ড ও চেকে বর্ণিত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্নজনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।

বিতর্কিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ‘জাহিদের ভাইয়ের বিষয়ে আমি শুনেছি, কিন্তু সত্যতা জানিনা। তার ভাইয়ের জন্য তো সে দায়ী হতে পারে না। আর শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগটি সত্য হলে এটি আপত্তিজনক। মামলায় সাজার বিষয়টি আমরা জানতাম না। আমরা পাঁচজন করে নাম পাঠিয়েছিলাম। ওই নামের মধ্যে তাদের নামও ছিল’।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com