উলিপুরে ফরিয়া পাইকারদের দখলে পাটের বাজার

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ || ২০২১-১০-২৬ ০৩:৩১:৪৫

image

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগ বালাই না হওয়ায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে এবছর বিগত কয়েক বছরের চেয়েও পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও পাটের দাম তুলনামুলক কম হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ থাকায় এলাকার বেশিরভাগ কৃষক কম দামে পাট বিক্রি করছে ফরিয়া পাইকারদের কাছে। কৃষক তাদের চাষকৃত পাট সরকারি মূল্য বা নির্দিষ্ট বাজার না পাওয়ায় ফরিয়া পাইকাররা দখলে রেখেছে পাট বাজার।

কৃষক বলছেন, উৎপাদনে ব্যাহত না হলেও শ্রমিকের মজুরিসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাট খড়ি বিক্রি করেও ব্যয়বার উঠছে না। দীর্ঘদিন পাটের দাম ভালো না পাওয়ায় কৃষক পাটচাষ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়ায় উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাটহাটটি কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যায়। নব্বই দশকের পর ওই পাট বাজারে তেমন পাটবিক্রেতা চোখে পড়েনা। কৃষক যেটুকু উৎপাদন করে ফরিয়ারা ঘুরে ঘুরে সেই উৎপাদিত পাটগুলো ক্রয় করে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয়৷ এতে একপক্ষ সুবিধা লুটে নিচ্ছে আরেক দিকে কৃষক প্রকৃত দাম থেকে প্রতারিত ও বঞ্চিত হচ্ছে।

ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল, গুনাইগাছের কৃষক আমিনুল, নারিকেল বাড়ির কৃষক ফজল, দলদলিয়ার কৃষক জয়নাল জানালেন, গত বছর হঠাৎ করেই প্রতি মনে চার থেকে পাঁচ হাজার দাম উঠেছিলো এ বছর সে আশায় দ্বিগুন উৎপাদন করেছি। এবার উৎপাদন ব্যায়ের সাথে হিসেব মিলাতে পারছি না। এখন পর্যন্ত পাটের দাম ২৬ শত থেকে ২৭ শত টাকা। তারা আরো জানান, সরকার উদ্যােগ নিলে আমরা লাভবান হতাম।

কৃষকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে পাট সংগ্রহকারি ফরিয়া বাবলু ও আক্তার জানায়, আগের মত সিস্টেম নাই বড় বাজারও নাই তাই কৃষক আর বাজারে যায় না, আমরা চেষ্টা করি কৃষককে ভালো দাম দেয়ার।

ফরিয়াদের কাছ থেকে পাট ক্রয়কারি ব্যাপারি নাজিম জানান, মিলাররা যে দাম দিচ্ছে ও বেসরকারি ভাবে যে দামে পাট কিনছি তাতে ফরিয়া ও ব্যাপারীরা উভয়ে বিপদে আছি।

ব্যাপারি আলাল জানান, যশোর, খুলনা, জনতা, আকিজ জুট মিল থেকে যে দাম দিচ্ছে আমরা সেভাবেই ক্রয় করছি তাতে কৃষক লাভবান হচ্ছে না। এতে কৃষক ভালো দাম পাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, কৃষক যদি চার হাজার টাকা প্রতিমনে দাম পেত তাহলে কৃষক পুষিয়ে নিতে পারত।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি অর্থ বছরে ১৭৫০ হেক্টর জমি নির্ধারন করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ২৮৪০ হেক্টর জমি। সরকারিভাবে পাট ক্রয়ের মাধ্যম না থাকলেও কৃষক যে দাম পাচ্ছে তাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com