শান্তির প্রতীক বলা হয় কবুতরকে। শখের বসে কবুতর পালন করেই এখন অনেকে কবুতর পালন করেন আর কেউ বাণিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন করে হয়েছেন সফল এবং স্বাবলম্বী। তেমনি সৌখিন কবুতরপ্রেমী অনেকের সফলতাই বলার মতো। সে রকমই একজন খামারী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকার লাবু ইসলাম। তিনি অল্প সময়ে কবুতর পালনে সফলতা পেয়েছেন।
২৩ বছর বয়সী যুবক লাবু ইসলাম একজন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী এবং পাকেরহাট আজগার মেম্বার পাড়ার বাবলুর রহমানের একমাত্র ছেলে। ২ বছর আগে সাজ্জাদ ইসলাম অপু নামে তাঁর এক বন্ধুর দেয়া উপহার এক জোড়া লোটন জাতের কবুতর দিয়ে কবুতর পালন শুরু করেন। সেটা দিয়েই তার বাড়িতে একটি ঘরে কবুতর পালন শুরু করেন। শুরুটা এক জোড়া দিয়ে হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিক তরুণ কান্তি রায়সহ যুবক লাবু ইসলাম বিভিন্ন জায়গা থেকে লোটন, সরাজী, ঝর্ণা শাটিক, বন্টিনেট, লাক্ষমা জাতের কবুতর সংগ্রহ করেন। এখন তার খামারে কবুতরের সংখ্যা ২৮-৩০ জোড়া ছাড়িয়ে গেছে। এসব কবুতরের বাজার মূল্য প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বর্তমানে বন্টিনেট ও ঝর্ণা শাটিক জাতের কবুতরের চাহিদা ও দাম বেশী।
গত দুই বছর আগে শখের বসে শুর“ করা কবুতর পালন এখন আর শখে সীমাবদ্ধ নেই; এটি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে। যুবক লাবু তাঁর শয়ন কক্ষের পাশের রুমেই লোহার খাঁচায় থাকা কবুতরদের খাদ্য দিচ্ছেন। কবুতরের ডাক আর শব্দে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এগুলার মধ্যে মা জাতের কবুতর গুলো যে ডিম দেয় সেটা দিয়ে উৎপাদিত বাচ্চা কবুতর বিক্রি করে তার মাসিক আয় হয় ৬-৭ হাজার টাকা এবং কবুতরের খাদ্য ও ঔষধ বাবদ প্রতি মাসে তার ব্যয় হয় ২ হাজার টাকার মত। সীমিত সম্পদের মধ্যেই তার এই আয় দেখে অনেকেই কবুতরের খামার গড়তে তার খামার দেখতে আসেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন।
কবুতর খামারের মালিক লাবু ইসলাম বলেন, মূলত শখ থেকে এবং সময় কাটানোর জন্যই তিনি কবুতর পালন শুরু করেছিলেন। পরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করে এবং নিজের আগ্রহ থেকে খামার গড়ে তুলেছি। এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে তবুও প্রতি মাসে ৬-৭ হাজার টাকা আয় হয়। সেই আয় দিয়ে কবুতরের পরিচর্যা খরচের সাথে আমার সংসার খরচেও কাজে দেয়।
তরুণ কান্তি রায় বলেন, লাবুর ছোট বেলা থেকে কবুতরের প্রতি দূর্বলতা ছিল। কবুতরের প্রতি ভালবাসা থেকেই ছোট পরিসরে কবুতরের খামার তৈরী করছে। আশা করি আমিও কবুতরের খামার তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, যুবকদের বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও ঋণদান কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সেই কার্যক্রমের সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যুবক লাবু ইসলাম।
খানসামা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, বেকারদের পাশাপাশি যেকোনো সৌখিন মানুষ বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে। এজন্য প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের সকল ধরনের পরামর্শ দেওয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com