লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকার বহুল আলোচিত সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনার রহস্যের দেখা পেয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন পলাতক শাকিলের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ডাকাতির ঘটনার রহস্য খুজে বের করতে পুলিশকে সহায়তা করছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানিক ভাবে এখন পর্যন্ত কিছু না বললেও পুলিশের একটি সুত্র মতে পলাতক শাকিলই এ ঘটনার মুল হোতা। তাকে ধরা গেলেই এ ডাকাতির ঘটনার সাথে আরো কারা কারা জড়িত এবং কি ভাবে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেই রহস্যের জট খুলবে। এ দিকে লিংকন হোসেন নামে একজন ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই উপজেলার বড়খাতা এলাকায় ঔষধ ব্যবসায়ী একরামুল হকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ওই বাড়ির দুইজন নারীকে আঘাত করে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে আলমারী ভেঙ্গে সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় এমন দাবী ঔষধ ব্যবসায়ী একরামুল হকের।
পুলিশের একটি সুত্রে জানা গেছে, ডাকাতির ঘটনার পর পরেই পুলিশ কয়েকজনকে সন্দেহ করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। তারা ওই এলাকায় মোমিনের বাড়িতে অভিযান চালালে মোমিনের ছেলে শাকিল পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে পালিয়ে যায়। শাকিল পালিয়ে গেলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফেলে যায়। পরে পুলিশ ওই ফোনটি উদ্ধার করে ফোনের বিভিন্ন ম্যাসেজ থেকে অনেকটা নিশ্চিত হয় এ ডাকাতির ঘটনার সাথে শাকিল জড়িত। পরে ওই ফোনের বিভিন্ন ম্যাসেজের সুত্র ধরে লিংকন নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। লিংকন ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
নাম না প্রকাশ শর্তে পুলিশের একটি সুত্র ধারনা করছেন, ডাকাতির ঘটনার মুল হোতা শাকিল। তার ব্যবহৃত ফোনে ওই ডাকাতির টাকা ভাগাভাগির নানা ম্যাসেজ পাওয়া গেছে। ডাকাতির ঘটনায় শাকিলসহ ৪/৫ জন জড়িত থাকতে পারে। ডাকাতি হওয়ার টাকার মধ্যে বাকি জড়িতদের কিছু কিছু করে দিলেও বেশি টাকা শাকিল নিজের কাছে রেখেছেন। শাকিলের ঘরে মাটির নিচ থেকে কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বেশি ভাগ টাকা সাথে নিয়েই শাকিল পালিয়ে গেছে এমন দাবী পুলিশের। তবে ডাকাতি হওয়ার অর্থের পরিমান সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা কি না তা এখনো নিশ্চিত হতে পারে নাই পুলিশ। শাকিল’ এ ঘটনা মুল হোতা হলেও তাকে নেপথ্যে প্রভাবশালী কেউ সহযোগিতা করতে পারে এবং ডাকাতি হওয়ার ওই টাকা সেই প্রভাবশালীদের কাছে চলে গেছে এমনটিও ধারনা করছেন নাম না প্রকাশ শর্তে পুলিশের একটি সুত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিংকন হোসেন আদালতে নিজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন। শাকিলের মোবাইল ফোনেও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। কি ভাবে ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেই তথ্য গুলো তদন্ত করা হচ্ছে। শাকিলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে এ ডাকাতির ঘটনার পুরো রহস্য বের হয়ে আসবে।
লালমনিরহাট সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার বলেন, পুলিশ এ ডাকাতির ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনার পুরো রহস্য বের করতে সক্ষম হবো।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com