শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, চলছে স্কুল পোশাক বানানোর হিড়িক

হাসিব খান || ২০২১-০৯-০৮ ০৩:০৭:২৩

image
দীর্ঘ সতের মাস পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।হাতে সময় আছে আর মাত্র ৪ দিন। এ খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল পোশাক কেনা ও বানানোর হিড়িক পড়েছে গাজীপুরে।
 
দীর্ঘ এই সময়ে শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পরা যাচ্ছে না পুরনো পোষাকগুলো। মহানগরের রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র তাজিম হাসান। স্কুল বন্ধ থাকায় পোশাকটি রেখে দিয়েছিল আলমারিতে। সেটি এখন পরার উপায় নেই। স্কুল খোলার খবর পেয়ে নতুন পোষাক নিতে মায়ের কাছে বায়না ধরেছে। তাই মঙ্গলবার সকালে ছেলেকে নিয়ে স্কুল পোষাক কিনতে বাজারে আসলেন মা কানিজ ফাতেমা সৃতি। দুই দিনের মধ্যে পোষাক বানিয়ে দিবে এই শর্তে অর্ডার করেন টেইলার্সে। তানবীর হাসান পড়ে কাপাসিয়া উপজেলার বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ে। নবম শ্রেণীর এই ছাত্র একাই এসেছে বরুন বাজারের সৈকত ট্রেইলার্সে আগে থেকে অর্ডারকৃত 
পোষাক নিতে। ঐ শিক্ষার্থী জানায় দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আগের পোষাকটি ছোট হয়ে গেছে, তাই স্কুল খোলার খবর পেয়ে নতুন পোষাক বানাতে দিয়ে যাই।
শুধু তাজিম কিংবা তানবীর নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরে অভিভাবকরা সন্তানের জন্য স্কুল কর্তৃক নির্ধারিত পোষাক কিনতে ও সেলাই করতে ভিড় জমাচ্ছে জেলার বিভিন্ন মার্কেটে ও টেইলার্স-এ। যাদের সামর্থ নেই তারা নতুন কিনে দেওয়া নিয়ে আছে দুশ্চিন্তায়। কাপাসিয়া উপজেলার বরুন বাজারের পোষাক ব্যাবসায়ী জীবন দাস বলেন, করোনায় লকডাওনে দোকান বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন স্কুল খোলার খবর শুনে 
শিক্ষার্থিরা আসছে পোষাক বানাতে, তাই ব্যাস্ত সময় পার করছি। ৩য় শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক খালেদ খান আমাদের অর্থনীতিকে বলেন স্কুল খোলার খবর পেয়েই মেয়ে আমার বায়না ধরেছে নতুন পোষাক কিনে দিতে। তাই সব কাজ বাত দিয়ে এসেছি মেয়ের জন্য পোষাক কিনতে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় মেয়ে আমার উচ্ছ্বসিত। আশা করছি সকলপ্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকরা পাঠদান করবে।
 
এদিকে এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে গাজীপুরে চলছে ধোয়া-মোছার কার্যক্রম।রানী বিলাসমনি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, জকি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বরুন উচ্চ বিদ্যালয়, ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয়, পাবুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুলে চলছে শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার করার কাজ। এসব কাজ তদারকি করছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকরা। উপজেলার কয়েকটি স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে,দীর্ঘ সময় করোনার কারনে বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারে নাজেহাল হয়ে আছে। তাই সকল প্রতিষ্ঠানের রুম, বেঞ্চসহ সব কিছু পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং মাঠে জমে থাকা আগাছা পরিষ্কার করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
 
কাপাসিয়া ভাকোয়াদি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিম সরকার বলেন,প্রায় ১৮ মাস আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারনে আমরা অত্যন্ত বিমর্ষ এবং বিপর্যস্ত ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুত করছি। শ্রেণীকক্ষ এবং বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আমরা কঠোর থাকবো।সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছি। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্যও আমরা ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি। কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.সালাম বলেন আমরা গত সোমবার জেলা শিক্ষা অফিসের সমন্বয়ে মিটিং করে মনিটরিং টিম গঠন করেছি।আগামী শুক্রবার শনিবার সকল প্রতিষ্ঠান সরজমিনে পরিদর্শন করা হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি বা সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা তা দেখা হবে। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে ১৯ টি সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। গাজীপুরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসব নির্দেশনা মানতে হবে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com