নরসিংদী পলাশে শিক্ষার মান উন্নয়নের শীর্ষে পলাশ থানা সেন্টাল কলেজ। ২০২১ সালে এ কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা মেধাবী শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী এক জাঁক মেধাবী শিক্ষক নিয়ে ২০১০ সালে পারুলিয়ায় জমি লিজ নিয়ে নিজের খরচে স্থাপনা তৈয়ার করে কলেজ টি চালু করেন এই নীতি নিয়ে যে, অর্থের অভাবে যেন কোন মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।
এ কলেজে অনেক গরীব বাবা মায়ের ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে, বিনা বেতনে এবং অনেক বিক্ষুক, রিক্সা ড্রাইভার, আয়া, বুয়া, দিনমুজুর এর ছেলে মেয়ে সহ এতিম ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে নাম মাত্র খরচে। অনেক ছাত্র ছাত্রীর বেতন ভাতা তো নেনই না বরং অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী বই খাতা কলমও কিনে দেন। তাই গরীব ছাত্র ছাত্রীদের এই কলেজে পড়াশোনার আগ্রহ বেশি। দুই বছরে এই কলেজে সর্বোচ্চ আটত্রিশ হাজার আর সর্ব নিন্মি সতেরো হাজার টাকা খরচ হয় যা অন্যান্য কলেজে পড়াশোনার খরচের তুলনায় খুবই সামান্য। কোন কোন ছাত্র ছাত্রী ইহার চেয়ে ও কমে পড়াশোনা করে।
এই কলেজে বর্তমানে ৭০০ ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে। ২০২১ সালে এই কলেজে ১২১ জন স্বল্প খরচে পড়াশোনা করে বর্তমানে করোনার কারনে সল্প খরচের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। এই কলেজ প্রত্যকটি ছাত্র ছাত্রীর বাড়িতে কদিন পর পর তাদের কে না জানিয়ে শিক্ষকরা হঠাৎ উপস্থিত হয়ে পড়াশোনার খোঁজ খবর নেন। করোনা কালীনের আগে চারটি পরিবহন বাস ছিল যা ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হত। বর্তমানে করোনা কালীন সময় থেকে অনলাইনে ক্লাস করানো হয় এবং মোবাইলে সর্ব ক্ষন তদারকি করা হয়। অনেক ছাত্র ছাত্রীরা জানান শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই পলাশ থানা সেন্টাল কলেজটি মানোন্নয়নে শীর্ষে কারণ শিক্ষকরা দিন রাত পরিশ্রম করে; যেন ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষার মানউন্নয়ন শীর্ষ স্থানে বজায় রাখে। এ কলেজর কোন ছাত্র ছাত্রী বাহিরে প্রাইভেট পড়া নিষিদ্ধ কারন কলেজে এক বার না বুঝলে বার বার পড়া বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রশ্ন খাতা ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসেন শিক্ষকরা। এব্যপারে ছাত্র ছাত্রীদের কয়েক জন অবিভাবকের এর সাথে কথা বললে জানান এত ভালমানের পড়াশোনা এত কম খরচে আর কোন কলেজে হয়কিনা আমাদের জনানাই। এই কলেজের পড়াশোনার মান খুবই ভালো ও নিয়ম শৃঙ্খলা খুব সুন্দর। কলেজের শিক্ষকরা সব সময় ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবকদের সাথে উন্নত মানের পড়াশোনার জন্য যোগাযোগ করেন তাই ফাঁকি দেবার কোন সুযোগ নেই এবং শত ভাগ পাসের রেকর্ড রয়েছে।
এব্যপারে পলাশ থানা সেন্টাল কলেজ এর অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীর সাথে কথা বলে তিনি জানান আমরা সরকারের সকল শিক্ষা নীতি মালা মেনে, ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সব ধরনের কৌশল করে থাকি এ জন্য আমাদের কলেজ পর পর চার বার পলাশ উপজেলার ও নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং শত ভাগ পাশের নির্শয়তা রয়েছে। যেহেতু সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা নেই পলাশে এটাই এক মাত্র নন এমিও ভুক্ত কলেজ, তাই করোনা কালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত কলেজর শিক্ষকদের বেতন ভাতা সবই দিতে কষ্ট হচ্ছে খরচ বেড়ে গেছে শিক্ষকের টিএ, ডিএ, এলাউন্স, ও মোবাইল বিল দিতে হয় বর্তমানে কলেজটি অর্থনৈতিক ভাবে খুবই দুর্বল, তাই কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের কলেজে যাতায়তের চারটি বাস বিক্রি করে দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কুচক্রী মহল কলেজের সুনাম নষ্ট করার জন্য উঠে পরে লেগেছে, সম্প্রতি কালে আমি লক্ষ করেছি কিছু লোক বিভিন্ন ধরনের অপ্রচার চালাচ্ছে এবং সাংবাদিকদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করছে এবং কিছু না জেনে কুচক্রী মহলের কথায় উদবুদ্ধ হয়ে সত্য উদঘাটন না করে কিছু হলুদ সাংবাদিক অপ-সাংবাদিকতার পরিচয় দিচ্ছে। আমি সমাজের বহু সমাজ সেবক, রাজনৈতিকবীদ, সাংবাদিক এর সুপারিশে নামে মাত্র সল্প খরচে অনেক গরীব বাবা মায়ের ছেলে মেয়েকে পড়াশোনা করতে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি এবং বাস সার্ভিস ও ফ্রী দিয়ে থাকি। তাই অনেকে বলে আমাদের ছেলে মেয়েরা আর ঢাকা কিংবা দুরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে না কারন এই কলেজে সল্প খরচে পড়াশোনার ও শিক্ষার মান অনেক শীর্ষে। দুঃখ লাগে যখন কুচক্রী মহল কলেজ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং এই কলেজটিকে ধব্বংষ করতে পায়তারা করছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com