উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নদ-নদী বেষ্টিত, ভাঙন কবলিত, সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রাম জেলায় নদ-নদী ভাঙন রোধে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের অনুমোদনকৃত প্রকল্প পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পর্যায়ক্রমে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদী ভাঙন রোধে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ রক্ষার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, একনেকের বরাদ্দকৃত ৫৯৫কোটি টাকায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর বাম ও ডানতীর সংরক্ষণ কাজ ফুলবাড়ী উপজেলার সোনাইকাজি, সদর উপজেলার বান্টুরঘাট, মোঘলবাসা, সারডোপ, ভোগডাঙ্গা, হিমেরকুঠি, সিবেরকুঠিসহ বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে নদী ভাঙন রোধ হয়েছে এবং কাজসমূহ যথাসময়ে সমাপ্ত হবে।
অপরদিকে ৩৭৯কোটি ২৩লাখ টাকায় একটি প্রকল্পে ব্রহ্মপুত্রের বাম-ডানতীরে ভাঙনরোধে কাজ চলমান রয়েছে। চিলমারী, উলিপুর উপজেলায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে নদী ভাঙন রোধসহ নদীতীর সংরক্ষন কাজ অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে ২টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে এবং একনেকে ৩০২কোটি টাকা বরাদ্দে চিলমারী, উলিপুর সহ রৌমারী, রাজিবপুরে ৪৭৯কোটি টাকা। প্রকল্পসমূহ জুন ২০২৩খ্রিঃ সমাপ্ত হবে। বর্তমানে দুধকুমার নদীতে একটি ও তিস্তা নদীতে একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যা দ্রুততম সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহতায় অনুমোদন হবে।
সরকারের সবশেষ তথ্য মতে, দারিদ্র্যের হার ৭০দশমিক ৮ভাগ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নদী ভাঙন। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও জিঞ্জিরাম-এ পাঁচ আন্তঃনদ-নদীসহ মোট ১৬নদ-নদীর প্রতিটিই কমবেশি ভাঙন প্রবণ। শুধু বর্ষায় নয়, শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন অব্যাহত থাকে। ফলে অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলার সোনাইকাজি, সদর উপজেলার বান্টুরঘাট, মোঘলবাসা, সারডোপ, ভোগডাঙ্গা, হিমেরকুঠি, সিবেরকুঠিসহ বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে নদী ভাঙন রোধ হয়েছে এবং কাজসমূহ যথাসময়ে সমাপ্ত হবে। ব্রহ্মপুত্রের বাম-ডানতীরে ভাঙনরোধে কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয় জনগন বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ডান-বামতীর নদীতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় ভাঙনের কবল থেকে অনেক সড়ক, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান ও জনবসতি রক্ষা পাবে। জমিতে ফসল ভালো হবে। এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানাই।
কুড়িগ্রাম-৩ উলিপুর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন ‘ব্রহ্মপুত্র নদীতীরের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না। বিগত দিনে ভাঙন ছিল, সেসব স্থানে ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণে কাজ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রাম ৪আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর নদী ভাঙনে কারণে এ জেলায় হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। এমনিতেই কোনো শিল্পকারখানা নেই। মানুষের কৃষি কাজ ছাড়া কিছু করার থাকে না। তার ওপর নদী ভাঙনে অনেক অবস্থাসম্পন্ন মানুষও নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এসব মানুষের জমি ও সম্পদ রক্ষাসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় একনেকের প্রকল্পের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কারণে ভাঙন অনেকটা কমেছে এবং প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শেষ হলে বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজারসহ কৃষি জমি নদ-নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। এতে স্থানীয় কৃষকরা ফসলী জমিতে ফসল ফলায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে লাভবান হয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর ডান বামতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণের কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি। করোনা মহামারি সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]