প্রথম দিন বই উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-১২-২০ ২২:৫২:১৫

image

বিদ্যালয়ে নতুন বছরে নতুন বই পাওয়া নিয়ে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। করোনার কারণে টেন্ডার ডাকতে দেরি হওয়া ও কাগজ না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বই সরবরাহ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। যদিও ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ এনসিটিবি বলছে সময়মত বই পৌঁছে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এক দশক ধরে নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের উৎসব করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।তবে করোনার কারণে আট মাস ধরে স্কুলগুলো বন্ধ এবং বই ছাপানোয় বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় এবার নতুন বইয়ের উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না। কথাটি অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কোন সমাবেশ করে নয়। নতুন বছরে নতুন বইগুলো সকল শিক্ষার্থী কিভাবে পাবেন সে ধরণের নির্দেশনা স্কুলগুলোতে আমরা দিয়ে দিবো। এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি বই ছাপানো হচ্ছে। দরপত্রের সময় অনুযায়ী কিছু সংখ্যক বাদে প্রায় সব বই ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পাঠানোর কথা। সেখান থেকে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।

মহামারীর কারণে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ভিন্ন পন্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে চায় সরকার। যদিও যথাসময়ে নতুন বই পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নতুন বই পেতাম এবার করোনার কারণে পাচ্ছি না এসব নিয়ে চিন্তায় আছি।

অভিভাবকরা বলেন, আমাদের বাচ্চারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে আছে। নতুন বই পাবে কি না, বা কখন পাবে। করোনার কারণে অনেক চিন্তায় আছি এছাড়া সামনের বছরে কি হবে তা এখনো বুঝতে পারছি না।

আগের বছরগুলোতে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বই পাঠানো হলেও এবার শেষ ডিসেম্বরেও ছাপার কাজ চলছে। কাগজের অপর্যাপ্ততার পাশাপাশি দামবৃদ্ধিসহ নানামুখী সংকটে এমন সমস্যা হয়েছে বলে জানান প্রেস মালিকরা।

প্রেস মালিকরা বলেন, আমরা অবশ্যই ক্ষতির সম্মুখীন হবো যদি এভাবে কাগজের দাম বাড়তে থাকে। তাও চেষ্টা করছি কিভাবে কাজগুলো শেষ করা যায়। আমরা ডিসেম্বর কাজ শেষ করতে পারবো যদি ঠিক মতো কাগজ পাই।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারাণ চদ্র স সাহা বলেন, প্রাইমারির ৭০% বই চলে গেছে উপজেলাতে এবং মাধ্যমিকের ৫০% এর ওপরে চলে গেছে উপজেলাগুলোতে। আমরা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সঠিক সময়ে বই দেয়ার জন্য।

এমন অবস্থাতেও আশাবাদী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। শিক্ষার্থীদের হাতে ঠিক সময়েই বই পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com