দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশে সর্বনিম্ন।
তিনি আরও জানান, আজ এর আগে সকাল ছয়টায় কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টার ব্যবধানের তাপমাত্রা আরও কমে নয়টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ায় কুড়িগ্রামে। তাপমাত্রা আটের নিচে নামায় এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান। সেইসঙ্গে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তার দ্বিগুণ ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয় চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। সেদিন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল তেঁতুলিয়ায়। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজ শনিবার গণমাধ্যমকে জানান, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুয়েকদিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়তো আর নামবে না। দুয়েক দিনের পর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। বড় এলাকা জুড়ে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে আবহাওয়াবিদরা তাকে বলেন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। থার্মোমিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মাঝারি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।
রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে। এদিকে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং শৈত্যপ্রবাহ নামায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ।
বিশেষ করে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষি দিনমুজুরসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষ সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছে না। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। নদ-নদী এলাকায় তাদের বসত হওয়ায় শীতে তীব্রতার অনুভূতি অনেকটা বেশি। শীতের কারণে বয়স্ক ও শিশুদের কষ্ট বেড়েছে। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]