কোভিড রোগী দ্রুত শনাক্তের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হলেও ধোঁয়াশাতে রয়েছে মানুষ। পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাবে গণমানুষ অ্যান্টিজেন টেস্টের বিষয়ে জানতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তাদের অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট পর্যাপ্ত রয়েছে, তবে গণমাধ্যমে প্রচারণা বিষয়টি তারা ভবিষ্যতে গুরুত্ব দেবেন।
কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য দেশে এতদিন শুধু রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতি থাকলেও গত ৫ ডিসেম্বর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তে ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হয়।
গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেটের সিভিল সার্জনদের সঙ্গে নিয়ে ভার্চ্যুয়াল পরিসরে এই পরীক্ষা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চালু হওয়ার পর গত ১৩ (গত বুধবার পর্যন্ত) দিনে এসব জেলায় মাত্র ৮০৯টি অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যা ৬১।
গত ২৪ ঘণ্টায় দশ জেলায় ১২টি অ্যান্টিজেন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুরুর পর ১৫ ডিসেম্বর জেলাগুলোতে ১০২টি নমুনা টেস্ট করা হয়। এটিই এখন পর্যন্ত টেস্টের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষকে টানতে কী করণীয় জানতে চাইলে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) করোনা ল্যাবের ভাইরোলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন: ‘অ্যান্টিজেন এখনো ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া প্রচারণাও নেই, এটা কোভিড টেস্টের মতো জটিল না। খুবই সহজভাবে যে টেস্টটা করা যাচ্ছে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া এ ধরণের প্রচারণাটাও বড় অভাব এই মুহুর্তে।’
তিনি বলেন: মানুষ অ্যান্টিজেন টেস্টটাকে অ্যান্টিবডি টেস্ট বলে ভুল করতেছে। অ্যান্টিজেন টেস্ট নিয়ে সম্পূর্ণভাবেই মানুষ ধোঁয়াশাতে আছে। যার কারণে টেস্টের ব্যাপারে আগ্রহ কম।
ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন
‘‘এছাড়াও করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয়টা ছিল সেটা অনেকটাই কেটে গেছে, তাই মানুষ নমুনা পরীক্ষাতে আগ্রহ হারাচ্ছে। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া যে সমস্ত কেলেংঙ্কারী হয়েছে তাতে নমুনা পরীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও জনমানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে।’’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অ্যান্টিজেন টেস্টের ক্যাপাসিটিতে কোন ঘাটতি নেই। আমাদের পর্যাপ্ত টেস্ট কিট তাদের রয়েছে। তবে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিডের লক্ষণ থাকলেই অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে কিন্তু লক্ষণ না থাকলে টেস্ট করা হবে না।
অ্যান্টিজেনের প্রচারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. এ বি মো. শামছুজ্জামান বলেন: অ্যান্টিজেন শুধুমাত্র কোভিড নির্ণয়ের জন্য। আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, গণমাধ্যমে প্রচারণার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
‘প্রচারণার বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলব যাতে জনসাধারণ অ্যান্টিজেন নিয়ে কোনো প্রকার ধোঁয়াশার মধ্যে না থাকে।’
গণমাধ্যমে প্রচারণাই এখন অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য মানুষকে টানার একমাত্র উপায় বলে মনে ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন: মুহূর্তের মধ্যে টেস্টের ফলাফল পাওয়াসহ কিছু প্রচারণা থাকলে মানুষের আগ্রহ কিছুটা বাড়বে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com