অবৈধ দখলে ফুটপাত। তাই রাস্তায় পথচারী। আর ট্র্যাফিক সিগন্যালেই কি ভরসা আছে কারও? যেখানে-সেখানে বাস থামানোর অভ্যাসটাও আছে আগের মতোই। চলন্ত বাসের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারী। তাগিদ নেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের। নতুন সড়ক পরিবহন আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের এমন পুরোনো বৃত্তেই ঘুরছে ঢাকার সড়ক।
মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে নিচে তাকালে ছুটির দিনগুলো ছাড়া প্রতিদিনই চোখে পড়বে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর দৃশ্য। প্রায় একই ধরনের চিত্র মৌচাক ফ্লাইওভারেও। যেখানে বাস থামানো দূরে থাক, যাত্রী ওঠা-নামাও নিষেধ সেখানেই এই অবস্থা! ঝুঁকি নিয়ে নামছেন যে যাত্রী আর নামাচ্ছেন যে চালক-হেলপার, তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কেন রাস্তায় চলাচল?
ড্রাইভার বলেন, যাত্রীরা বলেন তারা নামবেন এখানে। আমাদের কি করার আছে।
যাত্রীরা বলেন, আমরা এখানেই নামতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের ওখানে নামিয়ে দিয়েছে। এটির জন্য আমরা দায়ী নয়। আরেক যাত্রী বলেন, আসলে আমাদের সময় কম, তাই এখান দিয়ে যাচ্ছি। আর ওপর দিয়ে গেলে সময় বেশি লাগে। এছাড়া পরিবেশটাও খারাপ।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ওভারব্রিজ ও ট্র্যাফিক সিগন্যাল দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সড়ককে নিরাপদ করতে কতোটা কাজে আসছে কোটি কোটি টাকা খরচে নির্মাণ করা উপাদান দুটি।
ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মকর্তা এক সময় নিয়ম ভঙ্গকারীদের জরিমানায় ব্যস্ত থাকতেন, কিন্তু ২০১৮ সালে প্রণীত নতুন সড়ক পরিবহন আইনের ঘোলাটে অবস্থার কারণে তারাও এখন নিশ্চুপ।
ট্র্যাফিক কর্মকর্তা বলেন, সরাসরি রাস্তা পার হতে চায় তারা এটিকে সুবিধা মনে করে। আমাদের লোকসংখ্যা কম। তবে আমরা চেষ্টা করি মানুষ যাতে এভাবে রাস্তা না পার হয়।
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ‘ট্র্যাফিক সপ্তাহ’র মতো সময়ভিত্তিক উদ্যোগে কাজ হবে না। এজন্য নিতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ, যা সব সময় চালু থাকবে- বললেন, বুয়েটের এক্সিডেন্ট এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বলেন, ঢাকার মতো বড় একটি শহরের ট্রান্সপোর্টেশনকে যখন সুশৃঙ্খল করতে চাচ্ছে, তখন এটি কিন্তু বিচ্ছিন্ন কিছু কর্মসূচি দিয়ে কখনও ফলাফল পাওয়া যাবে না। একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সময় বেঁধে দিয়ে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য জরিমানার চেয়ে মানুষকে নিয়ম মানতে বাধ্য করতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য সড়কের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি তার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কিনা সে তদারকিও করতে হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com