ফরিদপুরের সালথায় প্রকাশ্যে আহলে হাদিমের একটি মাদ্রাসা ও মাদ্রাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতেই সালথা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সারাদেশে আলোচিত হয়।
মাসদারসার পরিচালক জানিয়েছেন যে কয়েক শতাধিক লোক তাদের মসজিদ ও মাদ্রাসায় ভাঙচুর করেছে এবং এখন তারা নিজেকে নিরাপত্তাহীন বোধ করছে। তাদের পক্ষে স্থানীয় হেফাজত নেতারা বলেছিলেন যে আহলে হাদিসের লোকেরা কওমী শিক্ষার্থীকে মারধর করার ফলে লোকজন উত্তেজিত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়।
এক বছর আগে আহলে হাদিসের অনুসারীরা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কমদিয়া গ্রামে মাদ্রাসা স্থাপন করেন। মাদ্রাসা ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত আবাসিক। মাদ্রাসার ভিতরে একটি মসজিদ রয়েছে। গত বুধবার কয়েকশ লোক মাদ্রাসায় আক্রমণ করলে দু'জন শিক্ষক এবং ৩৫ জন ছাত্র ছিল মাদ্রাসায়।
মাদ্রাসার পরিচালক ইলিয়াস হোসেন জানান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কাছের জঙ্গলে পালিয়ে গিয়ে নিজেকে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, শিশুদের প্রশাসনের সহায়তায় তাদের অভিভাবকদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, লাউড স্পিকারে ঘোষণা দিয়ে এবং কয়েক দিন ধরে সমাবেশ করে মানুষকে উস্কে দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছিল, তিনি অভিযোগ করেন। ইলাইস হোসেন বলেছিলেন, "আমাদের মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় তারা (আক্রমণকারীরা) আমাদের মেরে ফেলবে। তারা আমাদের হুমকিও দিয়েছিল যে আমাদের অবশ্যই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।"
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, আহলে হাসিদ মতাদর্শের মাদ্রাসা ভাঙচুরের ওই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭-৮শ’ লোককে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষে অভিযান চলছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেছেন যে আহলে হাদীস মাদ্রাসার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। "আমরা সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব", তিনি আরও বলেছেন। "ইউএনও বলেছে," এই মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। এজন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে আমরা আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছব।
নগরকান্দার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি এএফএম মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি খুব সেনসেটিভ। তাই এ ঘটনা খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় প্রকাশ্যে দিবালকে আহলে হাদিস মতাদর্শের একটি মাদ্রাসা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ডাঙ্গা কামদিয়া গ্রামে প্রায় ২ বছর আগে এই মাদ্রাসা তৈরী করে আহলে হাদিস অনুসারিগণ।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]