ঢাকা রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
  • এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু:
  • ২০২৪-০৮-১৩ ০৪:৪৭:৫৬

দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১২ আগষ্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাঁকে খালাসের আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার নিযুক্তীয় কৌশুলী ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।

মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইষ্ট লন্ডনের অষ্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, লালসালু, পাকবন্ধু ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭২ সনের ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসেন বলে ধৃষ্টতাপূর্ন জঘন্য মন্তব্য করেন। এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনই অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগনকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তার পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে, রাজাকারেরা তার মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে বলে তারেক রহমান তাঁর ওই বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতি সহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে,  এতে ২০ কোটি টাকার মান হানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্তীয় কৌশুলীর কোন ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেফতারী পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট
সর্বশেষ সংবাদ