ফরিদপুরে গত ১ মাস ধরে বেড়ে চলছে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাব।
ফলে জেলার সরকারী- বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে ডেঙ্গু টেষ্ট। আর এই সুযোগে জেলার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিছু অসাধু চক্র তাদের নিজেদের ইচ্ছে মতো টেষ্ট ফি আদায় করছে রোগীদের কাছ থেকে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার (২৬ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার পশ্চিম খাবাসপুরে অবস্থিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডেঙ্গু টেস্ট NS1 এর সরকারি মূল্য ৩০০ টাকা হলেও গত ২১ ও ২৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে দুজন রোগীর কাছ থেকে ডেঙ্গু টেস্ট ফি বাবাদ ১০০০ টাকা করে রাখার প্রমাণ পাওয়ায় পদ্মা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এসময় মোঃ বজলুর রশিদ খান, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, সিভিল সার্জন অফিস এবং জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে উপস্থিত ছিরেন ।এসময় জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ বলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফরিদপুরে গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে ৭৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এপর্যন্ত জেলায় ৮১২জন ডেঙ্গু রোগী হাসডাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি গেছেন ৬০৪ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ২০৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ১জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।