ফরিদপুরে পিতা হত্যায় বড় মেয়ের ফাঁসি, স্ত্রী ও ছোট মেয়ের যাবজ্জীবন
- সোহাগ জামান, ফরিদপুর
-
২০২৩-০৫-২৫ ০৭:২৭:১৩
- Print
ফরিদপুরে পিতা হত্যার দায়ে বড় মেয়েকে ফাঁসি এবং স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানকালে আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরনীতে জানা যায়, ঠিকমতো ভরন পোষন না দেয়া এবং ২য় বিয়ে করার কারনে ২০১৬ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর রাতে পিতা হাফেজ আবুল বাসারকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
মামলার বিবরনী হতে আরো জানাযায়, এ হত্যা কান্ড ঘটানোর জন্য উক্ত তারিখের ৪মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করেন নিহত আবুল বাশারের বড় মেয়ে নিলুফা আক্তার। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী নিলুফা আক্তার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ডায়রিয়া জনিত ও ঘুমের ইনজেকশন কিনে আনেন। এসময় নিলফার পিতা আবুল বাশার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সালথা উপজেলায় বসবাস করছিলেন। আর ঘটনার দিন নিলুফা আক্তার তার বাবা আবুল বাশারকে বাড়িতে ডেকে এনে খাবারের সাথে ডায়রিয়ার ঔষধ খাইয়ে দেয়। এতে ঘন ঘন বাথরুমে গিয়ে আবুল বাশার দুর্বল হয়ে পরে। আর পিতার পেটের সমস্যা সারিয়ে দেবার কথা বলে আবুল বাশারের শরীরে ঘুমের ইনজেকশন পুষ করে বড় মেয়ে নিলুফা আক্তার। পরে আবুল বাশার অচেতন হয়ে পরলে আবুল বাশারের মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হত্য করে।আর এ হত্যাকান্ড নিশ্চত হওয়ার জন্য নিলুফা আক্তার তার মা ও ছোট বোনের সাহায্য নিয়ে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ।আর এ হত্যাকান্ড অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য ডাকাতেরা এ হত্যাকান্ড করেছে বলে প্রতিবেশিদের জানায় নিলুফা ও তার মা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা করে।ফলে ঘটনার তদন্তের সার্থে নিহত আবুল বাশারের ১ম স্ত্রী সাহিদা পারভিন, বড়মেয়ে নিলুফা আক্তার ও ছোট মেয়ে হাফিজা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায়ে হাফেজ আবুল বাশার হত্যার দায়ে বড় মেয়ে নিলুফা আক্তারকে ফাঁসি এবং হত্যার কাজে সহযোগীতা করায় ১ম স্ত্রী সাহিদা পারভিন এবং ছোট মেয়ে হাফিজা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।